তানিমের রঙিন ডানা
আজ
আমি
তোমাদের তানিমের গল্প
বলব। তানিম
ক্লাস
ফোরে
পড়ে। করোনার জন্য
তার
স্কুল
অনেকদিন বন্ধ
ছিল। অবশেষে
স্কুল
খুলেছে। স্কুল
খোলার
পরে
তানিমের কাছে
সবকিছু
অন্যরকম মনে
হতে
থাকে। বিশেষ
করে
মা
বাবা
আলাদা
যত্ন
নিচ্ছেন তার। তোমাদের সবটা
বলি
তাহলে।
তানিমদের বাড়ির সামনে একটি বকুল ফুলের গাছ আছে। ভোরবেলায় গাছতলায় বকুল ফুল ঝরে ঝরে পড়ে । ছোট ছোট তারার মতো ফুল ।কী যে মিষ্টি গন্ধ! তানিম বলে,মা ।ফুল কুড়াতে যাই? মা হেসে বলেন, যাও। সেদিন দুপুর বেলা নামলো ঝুম বৃষ্টি । তানিম দৌড়ে যায় বৃষ্টিতে ভিজতে । মা রান্নাঘর থেকে ডেকে বলেন,সাবধানে,পা পিছলে পড়ে যাবি? তানিম জবাব দেয়,না মা পড়ব না।
ছুটির দিনে তানিমের বাবা তানিমকে কাগজ কেটে একটি ঘুড়ি বানিয়ে দিলেন।সেই ঘুড়ি নিয়ে সারাটা বিকেল কাটাল সে । তানিম তার বাবাকে বলল, আচ্ছা বাবা, একটা কথা বলব? তানিমের বাবা বললেন,বলো? তানিম তখন বলল,আচ্ছা বাবা; আমি যা করছি কিছুতেই বারণ করছো না কেন? মামণিও আর আগের মত বকাঝকা করছেন না। কারণ কি বুঝতে পারছি না? বাবা বললেন দেখো করোনার জন্য অনেকদিন ঘরবন্দি ছিলে । সময়টা হয়তো খুব আনন্দে কাটেনি তোমার। তোমাদের মত সব শিশুদের।শিশুমনে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে কোনো তার জন্য এই আলাদা যত্ন।
শিশুরা তো পাখির মত ,গাইবে।
শিশুরা ফুলের মত ,হাসবে।
শিশুরা প্রজাপতির মত ,উড়বে।
তানিম বাবার সব কথা বুঝতে পারে না। কিন্তু তার মনে হয় সে যেন তার পিঠে দুটি ডানা পেয়েছে। রঙিন দুটি ডানা। পাখির মত।
আলমগীর কবির
শিকদার মার্কেট,মণিপুর,
ডাকঘর: মির্জাপুর ,
গাজীপুর সদর, গাজীপুর ।।
মোবাইল নং-০১৭২২ ৯৭২৮৯২

0 মন্তব্যসমূহ